কোনো মুভি সিরিজ যাই হোক নো ম্যাটার হুইচ প্ল্যাটফর্ম প্লট আর স্টোরি যদি স্ট্রং থাকে বেশি ক্যারেক্টার এর প্রেজেন্স যে বাঞ্ছনীয় তার মোটামুটি ভালো একটা উদাহরণ স্টোঅ্যাওয়ে।
স্পয়লার নাম্বার এক: মাত্র চারটা ক্যারেক্টার দিয়ে পুরো মুভিটি।
ইয়েস মাত্র চারটা ক্যারেকটার দিয়ে একটা আস্ত একটা সিনেমা ১১৬ মিনিট রানটাইমের,শেষ কবে এরকম সিম্পলিস্টিক সিনেমা দেখছি মনে নাই,আমার মতে এই সিনেমার সবথেকে স্ট্রং পয়েন্ট হলো excess পরিহার আর সিম্পলিসিটি।
প্লট টা মোটামুটি এইরকম যে তিনজন মহাকাশচারী মার্স এ যাচ্ছে ছোট একটা মহাকাশযানে করে,যেখানে রিসোর্স খুবই সীমিত সবার জন্যেই ফুড,অক্সিজেন হেন তেন। রকেট লঞ্চ হওয়ার পরে দেখা যায় ভেতরে আরো একজন বেশি(অ্যাক্সিডেন্টালি) মানে প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ রিসোর্স এখন শেয়ার করতে হবে কারণ দেয়ার ইজ নো ওয়ে ব্যাক। এর মধ্যে নষ্ট হয়ে যায় রকেটের অক্সিজেন জেনারেটর/ফিল্টার। তারপরের কাহিনী সিনেমা দ্রব্যষ্ট।
মুভিটা নিয়ে প্রথম কথা মুভিটা প্রচুর স্ট্রেইটফরোয়ার্ড কাহিনী প্রোগ্রেশন সামান্য স্লো আর একইসাথে প্রচুর প্রেডিক্টেবল।মানে আপনি যা ভাবতেছেন এর পরে এইসব হইতে পারে তাই হবে আর দ্বিতীয় কথা এই মুভিতে কোনো টুইস্ট নাই যা আছে তা হইলো প্রোবাবিলিটি আর পসিবিলিটি। একটা সুযোগ যদি পাওয়া যায় অক্সিজেন জোগাড় এর হয় সবাই বাঁচবে নাহলে সবাই মারা যাবে এই টাইপ পসিবিলিটি এইজন্যেই আরকী স্ট্রেইটফরোয়ার্ড+ প্রেডিক্টেবল বলা।
আর খারাপ দিক বলতে কাহিনী প্রোগ্রেশন একটু স্লো যা কাহিনী রান টাইম আরো কম হতো ইজিলি (সর্বোচ্চ ৮০-৯০ মিনিট এর কাহিনী) আর লাস্টের দিকে একটা সিনে রেডিয়েশন কে ভিজুয়ালাইজ করছে ব্যাপারটা একদম পছন্দ হয় নাই,মানে যেই জিনিস দেখা যায় না সেই জিনিস যদি এখন সবুজ রঙ ধারণ করে ব্যাপারটা সুখকর না নিশ্চই।
Personal Rating :6/10
